যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েলের প্রতি ফিলিস্তিনিদের বার্তা

| আপডেট :  ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৫  | প্রকাশিত :  ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৫

যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েলের প্রতি নতুন বার্তা দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। গোষ্ঠীটি এ বার্তায় ভবিষ্যতে জিম্মিদের মুক্তি নিয়েও নতুন খবর দিয়েছে। 

শনিবার ( ২২ ফেব্রুয়ারি) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

হামাসের মুখপাত্র আবদুল লতিফ আল-কানু বলেন, ইসরায়েল যদি যুদ্ধবিরতি চুক্তির অবশিষ্ট শর্তাবলী এবং মানবিক প্রোটোকল পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করে, তাহলে ভবিষ্যতে বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, চুক্তির প্রথম ধাপ শুরু হওয়ার পর ৩৩ দিন পেরিয়ে গেছে, কিন্তু ইসরায়েল এখনো চুক্তির শর্তাবলী পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করেনি।

হামাসের মুখপাত্র বলেন, গাজায় পরিস্থিতি ভয়াবহ, যা মধ্যস্থতাকারীদের ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করে মানবিক প্রোটোকল বাস্তবায়ন এবং আমাদের জনগণকে আশ্রয় ও ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা তৈরি করেছে।

বিবৃতিতে গাজায় চলমান সংকট এবং মানবিক সহায়তার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। হামাসের এই আহ্বান ইসরায়েলের প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তাবলী পূর্ণভাবে মেনে চলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আরও চাপপ্রয়োগের অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় মানবিক সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হামাসের এই বিবৃতিতে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে হামাসের হাতে থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের হাতে আটক কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই বন্দি বিনিময় শেষ হবে।

এ চুক্তির ফলে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে পারবেন। ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।

চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকি ইসরায়েলি জিম্মিরা মুক্তি পাবেন এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা পুরোপুরিভাবে প্রত্যাহার করা হবে। তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে, যা কয়েক বছর সময় নিতে পারে। এছাড়া, মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত