ভারতে ইসরায়েলিসহ দুই নারীকে গণধর্ষণ, সঙ্গে থাকা পুরুষকে হত্যা
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কর্ণাটক রাজ্যের হামপিতে বৃহস্পতিবার রাতে দুই নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। অভিযুক্তরা তাদের সঙ্গে থাকা তিন পুরুষ পর্যটককে তুঙ্গভদ্রা নদীর খালে ফেলে দিয়ে নারীদের ওপর হামলা চালান। ঘটনায় একজন পুরুষ নিহত হয়েছেন এবং বাকি দুইজন বেঁচে আছেন। খবর বিবিসির।
পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের শিকার নারীদের মধ্যে একজন ইসরায়েলি পর্যটক এবং অপরজন ভারতীয় হোমস্টে (পর্যটকের বিশ্রামাগার) অপারেটর। তারা তিন পুরুষ পর্যটকসহ হামপির সানাপুর এলাকায় একটি লেকের পাশে আকাশ পর্যবেক্ষণ করছিলেন।
পুলিশ সুপার রাম আরাসিদি জানিয়েছেন, তিনজন হামলাকারী মোটরসাইকেলে এসে প্রথমে পর্যটকদের কাছে পেট্রলের খোঁজ করেছিলেন। এক পর্যটক তাদের পেট্রলের পাওয়ার পথ দেখিয়ে দেন। এরপর এক হামলাকারী ১০০ রুপি দাবি করেন, যা না পেয়ে তারা তর্ক শুরু করেন। এক পর্যটক ২০ রুপি দিলে হামলাকারীরা মারপিট শুরু করেন। পরে নারীদের ওপর হামলা চালান।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলে পাঁচজন – দুজন নারী ও তিনটি পুরুষ আক্রমণের শিকার হয়। নারীদের মধ্যে একজন ইসরায়েলি পর্যটক ও একজন ভারতীয় হোমস্টে অপারেটর ছিলেন। এছাড়া তিনজন পুরুষ পর্যটকের মধ্যে ছিলেন একজন আমেরিকান এবং বাকি দুজন ভারতীয়। নিহত একজন পুরুষ পর্যটকের লাশ কংসালপুর গ্রামের তুঙ্গভদ্রা নদীর খালে উদ্ধার হয়। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, হামলাকারীরা আগেই পর্যটকদের অনুসরণ করেছিলেন। এরইমধ্যে পুলিশ দুজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এবং বাকি অপরাধীদের খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে।
এই ঘটনায় কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া এক পোস্টে বলেন, ইসরায়েলি পর্যটক ও হোমস্টে অপারেটরের ওপর হামলা একটি ঘৃণিত কাজ। পুলিশের সঙ্গে আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি এবং তাদের দ্রুত অপরাধীদের ধরতে নির্দেশ দিয়েছি।
কর্ণাটকের একটি প্রাচীন গ্রাম হামপি; যা বিজয়নগর সাম্রাজ্যের নানা ধ্বংসাবশেষ ও মন্দিরের জন্য পরিচিত। এটি ১৯৮৬ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
ভারতে গত বছর কলকাতার একটি হাসপাতালে এক জুনিয়র চিকিৎসকের নির্মম ধর্ষণ-হত্যার ঘটনা আন্তর্জাতিকভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত