ঝালমুড়ি বিক্রেতার এক মাসে বিদ্যুৎ বিল ১১ লাখ টাকা

| আপডেট :  ৩০ জুলাই ২০২৫, ০২:১১  | প্রকাশিত :  ৩০ জুলাই ২০২৫, ০২:১১

গাজীপুরের শ্রীপুরে দুটি বাল্ব, দুটি ফ্যান আর একটি ফ্রিজ চালিয়ে ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো. আবদুল মান্নানের বাড়িতে এক মাসে বিল এসেছে প্রায় ১১ লাখ টাকা। বিদ্যুতের এমন ‘ভুতুড়ে বিল’ দেখে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

ভুক্তভোগী ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো. আব্দুল মান্নান উপজেলার বরমী ইউনিয়নের গাড়ারণ গ্রামের বাসিন্দা। 

ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান বলেন, আমার স্ত্রী মর্জিনা বেগম তিনি প্রবাসে থাকে। স্ত্রীর নামে পল্লী বিদ্যুতের একটি মিটার রয়েছে। রোববার দুপুরের দিকে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন জুলাই মাসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজ বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যায়। সেখানে জুলাই মাসের বিদ্যুৎ বিল দেখানো হয়েছে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৪ টাকা। অথচ গত এপ্রিল মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৪০ টাকা, মে মাসে বিল এসেছে ১১৫ টাকা আর জুন মাস বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১২৬ টাকা। সেটা জুলাই মাসে এসে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১ লাখ টাকা। এটা কেমন কথা। 

তিনি বলেন, এখন শুরু হবে আমার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের স্যারদের পেছনে পেছনে ঘোরাঘুরি। আমরা গরিব মানুষ এটা মারাত্মক হয়রানি। এই পরিমাণ বিল শুনার পরপরই মাথাটা ঘুরে গেছে। এনিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছি মনে হচ্ছে। আমার দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ধরনের হয়রানি বন্ধ হোক। এটা খুবই চিন্তার বিষয়। সারাজীবনে এত টাকার বিদ্যুৎ ব্যবহার সম্ভব না।  

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আনোয়ারুল আলম বলেন, একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতার বাড়ির একটি মিটারে এতবেশি পরিমাণ বিল এটা বুঝাই যায় ভুল হয়েছে। বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। এটা কোনো ভাবে ভুল হয়েছে। এটি ঠিক করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিল প্রস্তুতকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত