অন্য কমিশনের মতো শিক্ষা সংস্কার কমিশন হওয়া দরকার ছিল : ড. বদিউল আলম
সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ খাতের সংস্কারের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে। কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারে কোনো কমিশন গঠন করা হয়নি। আমি মনে করি শিক্ষা সংস্কার কমিশন হওয়া দরকার ছিল।
রোববার (৩ আগস্ট) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে “গণতন্ত্র ও শিক্ষা সংস্কার একইসূত্রে গাঁথা” বিষয় নিয়ে উম্মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ডক্টরস প্লাটফর্ম ইন ফিনল্যান্ড (বিডিপিএফ)।
মূলত অনুষ্ঠানে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, দেশে জুলাই অভ্যুত্থানের পর অনেকগুলো সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা বিষয়ক কমিশন গঠন হলো না কেনো?
এই প্রশ্নের জবাবে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন হওয়া উচিৎ। কেননা, শিক্ষাক্ষেত্রে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ইত্যাদি দূর করতে হবে।
দেশের জন্য সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যদিয়ে বিডিপিএফ-এর উন্মুক্ত আলোচনা শুরু করেন ড. মো. আব্দুল হাই (সদস্য প্রোগ্রাম, বিডিপিএফ) ও ড. জি এম আতিকুর রহমান (সদস্য সচিব, বিডিপিএফ) এবং অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন ড. মো. মঞ্জুরে মওলা ( প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিডিপিএফ) ।
উন্মুক্ত আলোচনায় আলোচক হিসেবে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. কুদরত-এ-জাহান।
শিক্ষা, সমাজ সংস্কৃতি ও কর্মসংস্থান নিয়ে ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় অনেক মানুষ কর্মসংস্থানে নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তাদের অনেকের মধ্যে আমি একজন, যে ভিন্নমতের রাজনীতি ও সত্য ঘটনা নিয়ে লেখালেখি করার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছিল। আমি বলবো- আর যেন কোনদিনও এই বাংলাদেশের মাটিতে এ ধরনের ফ্যাসিস্ট সরকার না আসে এবং সকালেই যেন তার কর্মসংস্থানে অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কাজ করতে পারে। গণতান্ত্রিক শিক্ষা নিয়েও তিনি কথা বলেছেন।
ড. কুদরত-এ-জাহান নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় সকলের অংশগ্রহণ জরুরী এবং পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, যেমন মত প্রকাশের স্বাধীনতা, পরমসহিষ্ণুতা, বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ।
আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী, শিক্ষাক, গবেষক, সমাজকর্মী এবং ছাত্র-ছাত্রী, অধ্যাপক ড. নূরুল আলম, ড. বদরুজ্জামান খোকন, ড. মঞ্জুর আলম, অধ্যাপক ডক্টর মো. তরিকুল ইসলাম আবু সাঈদ জুয়েল, ডক্টর মো. আনিসুর রহমান ফারুক, ড. জুলিয়াস ফ্রান্সিস ইমেজ, ড. কামরুল হোসেন, ড. একেএম সাইফুল্লাহ, ড. এএমএইচ সামসুজ্জোহা, ড. মো. আবুল হাই, ড.সানাউল হক, ড. জি এমন আতিকুর রহমান, ড. হিজবুল আলম, ড. মোঃ মঞ্জুরে মওলা, গবেষক শাহ্ আলম, প্রকৌশলী আব্দুল মমিন তালুকদার, শিক্ষিকা মাহিষা ফাহমিদা জুঁই, কালবেলা পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার শফিকুল ইসলাম সফিক, সমাজসেবক আশরাফুল আলম, মো. মাইনুল ইসলাম, ডক্টরাল রিসার্চার ফয়সল মোকাম্মেল রেদওয়ান ইসলাম প্রমুখ।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত